
অন্য যে কোনও ফোনের চেয়ে সেরা 5G প্রসেসর, অসম্ভব ফাস্ট 66W চার্জার, দুর্ধর্ষ AMOLED ডিসপ্লে, দারুণ স্পিকার এবং একটি 64 MP AI ট্রিপল ক্যামেরা অ্যারে, এমন সব অসাধারণ ফিচারের সমাহার vivo T1 Pro 5G কে বানিয়ে তুলেছে অনন্য।
এর ব্যাক প্যানেলে AG টেক্সচারে রয়েছে গ্লিটারের ছোঁয়া, এর রিয়ার ক্যামেরা অ্যারে ডিজাইন করা হয়েছে জেট ইঞ্জিনের আদলে এবং এতে রয়েছে ভীষণ-মজবুত ন্যানো-কোটিং ডিজাইন, যা আপনার ফোনে এনে দেবে দারুণ প্রিমিয়াম অনুভূতি। এর দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন, এটি হল একটি ভীষণ স্পেশ্যাল স্মার্টফোন।
এর আগের মডেল T1 Pro-এর মতো, T1 44W পাওয়া যাবে এতেও। তবে কোয়ালিটি এবং ইউজার এক্সপিরিয়েন্সের দিক থেকে তুলনা করলে এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী, কারণ এর নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এর সাথে পেয়ে যাবেন একটি 44 W ফ্ল্যাশ চার্জ ইউনিট। এর ডিজাইন অনেক সরল, তবে দেখতে ভীষণ আধুনিক এবং ব্যবহার করা সহজ।
T1 Pro তে রয়েছে কোয়ালকমের শক্তিশালী Snapdragon 778G SoC, একটি অক্টা-কোর প্ল্যাটফর্ম যা তৈরি করা হয়েছে 6 nm ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসের উপরে, যার ক্লক স্পিড 2.4 GHz, অবাক হচ্ছেন নাকি! আরও বাকি আছে। এছাড়াও একটি x53 5G মোডেম, হেক্সাগন 770 হিসেবে রয়েছে একটি শক্তিশালী AI চিপ এবং একটি গেমিং অপ্টিমাইজড GPU পেয়ে যাবেন এই ফোনে। এত রকমের ফিচার সাপোর্ট করার জন্য ফোনে রয়েছে 8 GB-র RAM এবং 128 GB হাই-স্পিড স্টোরেজ।
T1 44W তে দেওয়া হয়েছে ভীষণ শক্তিশালী Snapdragon 680— অপর একটি 6 nm প্রসেসর — এবং তার জুড়িদার হিসেবে রয়েছে 8 GB-র RAM এবং 128 GB স্টোরেজ।
এক্সটেন্ডেড RAM 2.0 এই দুইটি ফোনেই অতিরিক্ত 4 GB মেমোরি ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে যোগ করার সুবিধা দেবে। আর মাইক্রোSD (microSD) কার্ড ব্যবহার করলে 1 TB পর্যন্ত আপগ্রেড করার সুবিধা থাকবে।
Vivo-র তরফে জানানো হয়েছে, T1 Pro তে ব্যবহার করা হয়েছে এক ধরনের ‘ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল’ 8-লেয়ার কুলিং সিস্টেম। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি 2,097 বর্গমিলিমিটার ভেপার চেম্বার এবং তার সাথে রয়েছে 32,923 বর্গমিলিমিটারের এফেক্টিভ কুলিং এরিয়া। এই ফিচারের ফলে গেমাররা সর্বোচ্চ সাপোর্টেড সেটিংসে পাবেন একদম ল্যাগ-ফ্রি এক্সপিরিয়েন্স। প্রকৃতপক্ষে, গেমারদের কথা ভেবেই vivo একটু বেশি এগিয়ে গিয়েছে, আরও ইমার্সিভ ও রেসপন্সিভ ভাইব্রেশন ফিডব্যাকের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি শক্তিশালী, ক্যালিব্রেটেড Z-অ্যাক্সিস লিনিয়ার মোটর।
T1 44W এর SD680 দেবে আগের মডেলগুলির তুলনায় 20% বেশি সিঙ্গল-কোর পারফর্মেন্স এবং 10% বেশি GPU পারফর্মেন্স, ফলে এক কথায় পারফর্মেন্স বেড়ে যাবে অনেকটাই বেশি।
ব্যাটারি লাইফ নিয়ে চিন্তা? সেটা কী?
দারুণ ব্যাপার হল, এই দুইটি ফোনেই রয়েছে শক্তিশালী ফ্ল্যাশ চার্জ ইউনিট। T1 Pro তে রয়েছে একটি 66 W ইউনিট, এর ফলে মাত্র 18 মিনিটে আপনার ফোন 50% চার্জ হয়ে যাবে। আর T1 44W ফোনে 44W পাবেন।
প্রথমটিতে পাবেন তুলনামূলক ভাবে সামান্য ছোট 4,700 mAh ব্যাটারি, আর পরেরটাতে পাবেন কিছুটা বড় 5,000 mAh ব্যাটারি।
ইন্ডাস্ট্রির সেরা চার্জিং পাম্পের মাধ্যমে এই পাওয়ার খুব সাবধানে ব্যাটারি-তে পাম্প করা হয় এবং FFC টেকনোলজি এর নিরাপত্তা ও চার্জিং স্পিড নিশ্চিত করে।
অপূর্ব অডিও-ভিজুয়াল
T1 Pro 5G তে রয়েছে 0.9 cc সাউন্ড ক্যাভিটি-সহ একটি বিশাল স্পিকার যার ফলে আপনি পাবেন দারুণ বেস এবং দারুণ সাউন্ডের অভিজ্ঞতা। এর স্মার্ট পাওয়ার অ্যাম্প্লিফায়ার দারুণ কৌশলে এর পাওয়ার ম্যানেজ করে এবং ড্রাইভারের মাধ্যমে 71 dB সাউন্ড বের করতে পারে। ওয়্যারযুক্ত এবং ওয়্যারবিহীন উভয় ধরনের প্লেব্যাকের জন্য এই ফোনে রয়েছে Hi-Res (হাই-রেজ) অডিও সার্টিফিকেশন।
T1 44W এর কাছে রয়েছে হুবহু এক Hi-Res (হাই-রেজ) অডিও সার্টিফিকেশন এবং এটি অডিও সুপার রেজোলিউশন সাপোর্ট করে।
আকর্ষণীয় নিয়ার ইনফিনিট কন্ট্রাস্ট রেশিও-সহ FHD+ AMOLED ডিসপ্লে এবং রেজার-শার্প 400+ PPI রয়েছে দুটো ফোনেই। তবে T1 Pro তে এনহ্যান্সড HDR এক্সপিরিয়েন্সের জন্য রয়েছে 90 Hz রিফ্রেশ রেট এবং 1,300 নিটস পিক ব্রাইটনেস। উভয় ফোনই ওয়াইডার DCI-P3 গ্যামট সাপোর্ট করে, এর ফলে ফটো এবং ভিডিওগুলি সব সময়েই উজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখতে লাগে।
ভ্লগ করুন একজন প্রো-এর মতো
এই ফোনের সবচেয়ে সুন্দর ফিচার অর্থাৎ এর ক্যামেরা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নিন। এই T1 Pro তে রয়েছে 64 MP F1.79 ইউনিট-সহ একটি AI ট্রিপল ক্যামেরা অ্যারে, যা ছবি তোলার সময়ে প্রচুর পরিমাণে আলো ক্যাপচার করে এবং অনেক বেশি ন্যাচারাল বোকে এফেক্ট দিতে সাহায্য করে।
এই ফোনে রয়েছে একটি 8 MP 117° আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং একটি ম্যাক্রো ক্যামেরা, যা 4 সেন্টিমিটার কাছে পর্যন্ত ফোকাস করতে পারে।
আরও দারুণ ব্যাপার হল, এই ফোনের রিয়ার ক্যামেরা 4K ভিডিও তুলতে পারে এবং একই সাথে ফ্রন্ট ক্যামেরাতে পিকচার-ইন-পিকচার ভিডিও এফেক্ট-সহ আপনি নিজেকেও ক্যাপচার করতে পারবেন ।
T1 44W আপনাকে দিচ্ছে 50 MP মেন ক্যামেরা, তার সাথে থাকছে একটি 2 MP বোকে ক্যামেরা এবং একটি 2 MP ম্যাক্রো ক্যামেরা। সামনে রয়েছে একটি 16 MP ক্যামেরা যা দারুণ সেল্ফি তুলবে এবং এর AI অ্যালগোরিদম ‘আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে’।
এছাড়াও আপনি পাবেন স্টেবিলিইজড HD ভিডিও ক্যাপচার এবং একটি ডবল এক্সপোজার মোড- এটি আপনার ফ্রন্ট এবং রিয়ার ক্যামেরায় তোলা বিভিন্ন ছবি মিশিয়ে স্টিল তৈরি করতে পারে!
এই দুইটি ফোনেই পাবেন সুপার নাইট মোডের মতো একগুচ্ছ AI ফিচার, যেমন ডিনয়েজিং এবং মাল্টি-ফ্রেম মার্জিং, সিটি নাইট ফিল্টার এবং আরও অনেক কিছু। ফলে আলো যেমনই হোক না কেন, আপনার ছবি ভালো উঠবেই।
এটা স্পষ্ট যে, দুইটি ফোনেই রয়েছে দারুণ সব ফিচার এবং অসাধারণ ক্যামেরা, শক্তিশালী ইন্টার্নাল এবং অভিনব ডিজাইন।
বহু প্রতীক্ষিত vivo T1 Pro 5G ফোনের সেল শুরু হয়েছে 7ই মে, দাম শুরু ₹23,999 থেকে। অপর মডেলটি অর্থাৎ T1 44W এর সেল শুরু হয়েছে একদিন পরে, 8ই মে দুপুর থেকে, দাম শুরু ₹14,999 থেকে।
অবশ্যই মনে রাখবেন যে, ICICI, SBI, IDFC FIRST ব্যাঙ্ক এবং OneCard ব্যবহারকারীরা T1 Pro 5G এবং T1 44W কিনলে যথাক্রমে ₹2,500 এবং ₹1,500 পর্যন্ত অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন।
More Stories
Realme GT Neo 5 SE: ফ্যান্টাসি কালারের সাথে ৪ এপ্রিল বাজারে আসছে রিয়েলমি জিটি সিরিজের সস্তা ফোন
Samsung Galaxy M54 5G: স্যামসাংয়ের সস্তা ফোনে SIM না লাগিয়েই হবে কলিং, চাপে রেডমি, রিয়েলমিরা
108MP ক্যামেরা, 6000mah ব্যাটারি, ও সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের সঙ্গে দুর্ধর্ষ ফোন লঞ্চ করল Samsung